নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন রিজেন্টের সাহেদ
অস্ত্র মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাহেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে এ কথা বলেছেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আদালতে অস্ত্র মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক সাহেদকে এ মামলায় দোষী কি না জিজ্ঞেস করলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর বিচারক আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। আগামীকাল এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষেই রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক।’
এর আগে এ মামলায় চারটি কার্যদিবসে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে মামলার সাক্ষ্য সমাপ্ত করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপরে গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অন্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট এই মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। সে মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে র্যাব।
এ ছাড়া সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন। এসব ঘটনায় ও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।