নওগাঁয় ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কেউ সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, কেউ সম্ভ্রম দিয়েছেন আবার কেউবা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের। আজ রোববার নওগাঁ জেলা পুলিশ রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের এমন ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে (বীরাঙ্গনা) সংবর্ধনা দিয়েছে।
এই ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বর্তমানে জীবিত ছয়জন হলেন সুষমা পাল, কালী বালা, মায়া রানী সূত্রধর, রাশমনি সূত্রধর, সন্ধ্যা রানী পাল ও গীতা রানী পাল।
নারী মুক্তিযোদ্ধা বাণী রানী পাল, ক্ষান্তা রানী পাল, রেনু বালা ও সুষমা সূত্রধর বেঁচে নেই। গত বছর ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে ওই ১০ নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ওই ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উপহার দিয়ে সংবর্ধনা জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল মান্নান মিয়া। মৃত চার নারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে তাঁদের স্বজনরা উপহার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আক্তার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাণীনগর উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ, মুক্তিযোদ্ধা প্রদ্যুৎ কুমার পাল প্রমুখ।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং নিজেদের মহামূল্যবান সম্ভ্রম হারিয়েছেন এমন অনেক নারী দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে সামাজিক নিগ্রহ সয়ে জীবনটাকে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অনেকেই জানতেন না বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের অবদানের কথা। বর্তমান সরকার বীর মায়েদের সম্মান দিয়েছে। তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই মায়েদের সংবর্ধনা জানাতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হলাম।’