নওগাঁয় জমিসহ বাড়ি পাচ্ছে সহস্রাধিক পরিবার
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁর ১১ উপজেলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে এক হাজার ৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
আকাশি রঙের ছাউনির সারি সারি বাড়িগুলো দেখে অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই বাড়িগুলোতে বসবাস করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গৃহহীন পরিবারগুলো।
‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতাংশ জমিসহ এসব বাড়ির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে এক হাজার ৫৬টি বাড়ির কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে নির্মাণাধীন বাড়িগুলো। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক তদারকি ও তত্ত্বাবধায়নে ভূমি ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, মান্দা, পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলার কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি কিনে এ ধরনের একটি বাড়ি তৈরি করা তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উপহার তাদের কাছে শুধু একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই না, একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাড়িগুলোতে দুটি ঘর, রয়েছে একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর, সামনে খোলা বারান্দা। আমরা এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সতর্ককতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আগামী ২৩ জানুয়ারি অসহায়, গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ বুঝে নিবে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরো জানান, জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, আত্রাইয়ে ১৭৫টি, রানীনগরে ৯০টি, বদলগাছীতে ৪৮টি, সাপাহারে ১২০টি, পত্মীতলায় ১১৪টি, মহাদেবপুরে ৩৪টি, মান্দায় ৯০টি, ধামইরহাটে ১৫০টি, পোরশায় ৫৪টি ও নিয়ামতপুরে ৭১টি জমিসহ নির্মাণ কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যারা ছিন্নমূল, যাদের জায়গা নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাদের কথা দরদের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এসব গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন সারা দেশব্যাপী। তারই অংশ হিসেবে নওগাঁয় এক হাজার ৫৬টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।’