নওগাঁয় করাত কল স্থাপনের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাজরভাঙ্গা এলাকায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ করাত কল স্থাপনের প্রতিবাদ করায় নাসিম উদ্দিন নামের এক শিক্ষকের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করার পাঁচ দিন পার হলেও মিলছে না প্রতিকার।
গত বুধবার মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা আবাসিক এলাকার স’মিলে দিনদুপুরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
প্রবীণ শিক্ষক নাসিম উদ্দিনকে লাঞ্ছনা আর মারধরের সেই দৃশ্য ধারণ করা হয় মোবাইল ফোনে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নির্যাতনের শিকার প্রবীণ শিক্ষক নাসিম উদ্দিনের অভিযোগ, রাজশাহীর বাগমারা থেকে সম্প্রতি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাজরভাঙ্গা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। এলাকায় অবৈধ স’মিলে মানুষের ভোগান্তি দেখে তার প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ও নির্যাতন চালায় করাতকলের মালিক দেলশাদ আলী মণ্ডলের দুই ছেলে এরশাদ আলী মণ্ডল, আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের সহযোগীরা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে নাসির উদ্দিনকে মেরে তাঁকে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। এ সময় গ্রামবাসী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে এসে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। গত বুধবার এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন।
স’মিল মালিক দেলশাদ হোসেন মণ্ডলের দাবি, আইন মেনেই চলে তাঁর করাত কল। ৩৫ বছর ধরে পাজারভাঙ্গার ওই স্থানে স’মিলটি চালিয়ে আসছেন তারা। কোনো দিনই কারো সমস্যা হয়নি। মূলত নাসির উদ্দিনের জামাতা রেজাউল ইসলামের কাছে পাওনা রড সিমেন্টের চার লাখ ৫৬ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সেদিন তাদের হয়রানি করায় হাতাহাতি হলেও শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে বিবস্ত্র করার অভিযোগ অস্বীকার করছেন সমিল মালিক দেলশাদ।
আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর শিক্ষক নাসির উদ্দিনের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ওই অভিযোগের তদন্ত চলছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’
ঘটনার পর পাঁচ দিন পার হলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার কিংবা এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? জানতে চাইলে পরে কথা বলবেন বলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওসি শাহীনুর রহমান।