দ্রুত নিজের পোস্টার সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাপস
ভোটের পর পরই প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো পোস্টার, ব্যানারসহ প্রচারের অন্যান্য সরঞ্জাম নির্বাচনী এলাকায় থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ভোটের একদিন পর আজ রোববার সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নবনির্বাচিত নগরপিতা বলেন, ‘আমরা এলাকাকে দূষণমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। তাই আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে, নৌকা মার্কার যত পোস্টার ও ব্যানার আছে তা আগামী এক-দুদিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। এগুলো সরিয়ে এলাকাকে পুনরায় দৃষ্টিনন্দন করতে হবে।’
ভোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে ধানমণ্ডির সাত নম্বরে রূপায়ণ-প্রাইম টাওয়ারে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তাপস। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং ঘোষিত ইশতেহার সামনে রেখে মানুষের সেবার অঙ্গীকার করেন তিনি।
এ সময় প্রথমবারের মতো নির্বাচিত মেয়র বলেন, তিনি তাঁর এই জয় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, ভোটার, আমার জন্য কাজ করেছেন, পরিশ্রম করেছেন- সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তাদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই।’
দায়িত্ব পালনকালে নিজের প্রতিপক্ষ প্রার্থী, তাঁর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতি সহনশীল থেকে সবাইকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে মন্তব্য করেন তাপস। এ সময় তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। হরতালের মধ্য দিয়ে তারা ঢাকাবাসীর রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে ইশতেহারে প্রতিশ্রুত নাগরিক সেবাগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তাপস। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে ঢাকায় কাজ করতে চাই।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এক হাজার ১৫০ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার তাপস পেয়েছেন চার লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ধানের শীষে পেয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।
ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার মধ্যেই জয়ের আভাস পেয়ে নৌকা দুই মেয়র প্রার্থী ফুল ও মিষ্টি নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করেছেন।