দুই সিটিতে ১৮ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই সিটিতে মোট ১৮টি কেন্দ্র আছে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পর ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘গোয়েন্দাদের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট নাই যে, এখানে খারাপ কিছু হতে পারে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তার রিপোর্টও তাদের কাছে নেই। সব সময়ই তাঁরা সতর্ক আছেন, কোনো সমস্যা থাকলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বাড়তে পারে কি না—এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘বাড়তেও পারে কমতেও পারে। এটা নির্ভর করে ওই এলাকায় অপরাধীরা কেমন ঘোরাফেরা করছে। যদি সরে যায় তাহলে কমবে আর যদি সরে না যায় তাহলে বাড়বে। সবকিছু মাথায় নিয়ে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
জ্যেষ্ঠ সচিব আরো বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটের মাঠে থাকবে। কেন্দ্রভিত্তিক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব, বিজিবি থাকবে।’
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি প্রস্তাব দিয়েছেন উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেছেন, ‘বৈঠকে তাঁরা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) আমাদের সব প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিল সেটির বিষয়ে তাঁরা বলেছেন, ঢাকায় দুই থেকে তিন লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে বিধায় তাঁরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে তাদের সমস্যা হবে এবং যারা বিভিন্ন স্থান থেকে চলাচল করবে তাদেরও সমস্যা হবে। এটিতে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। কমিশন সেটা মেনে নিয়েছে।’
নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে জানিয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এ ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নাম্বার নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়তো শতভাগ করতে পারিনি, উত্তরের যে অভিযোগটি এসেছে সেটার ক্ষেত্রেও সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি, এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর একটিও না ঘটে।’
‘নির্বাচনের দুই দিন আগে আরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এখন পরিস্থিতি যা আছে তা তো থাকবেই আশা করি, আরো ভালো হবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও সে সময় মাঠে থাকবে’, যোগ করেন মো. আলমগীর।