দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেপ্তার, ওসি শাহীন ফকিরকে শোকজ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. তাজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলী মোড় থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি তাজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে বংশাল থানা পুলিশ। তিনি বিএনপির বংশাল থানার সভাপতি। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। এরপর ওসি শাহীন ফকিরকে শোকজ করা হয়। দুই কর্মদিবসের ভেতরে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া দক্ষিণের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আবদুস সালামকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ইশরাক অভিযোগ করেছিলেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে বংশাল থানার ওসিকে পুনরায় শোকজ করা হয়।
শোকজের জবাবও দিয়েছেন শাহীন ফকির। বিষয়টি জানান দক্ষিণ সিটির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ সিটিতেই ওসিকে শোকজ করা হয়। এ ছাড়া মোট ৩৩ জনকে শোকজসহ আচরণবিধি মানতে নানা ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই শোকজের জবাব দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে শাহীন ফকির বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে চিঠি দিয়েছিল। আমি তার জবাবও দিয়েছি। মো. সালামকে র্যাব-৩ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আর তাজউদ্দিন আহমেদকে আমাদের থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘যাদের শোকজ করা হয়েছে তাদের ভেতরে অনেকেই শোকজের জবাব দিয়েছেন। সময় না হওয়ায় কেউ কেউ এখনো জবাব দেননি। তবে সবাই দিয়ে দেবে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় নয়।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোট তিনজনকে শোকজন করা হয়েছে। একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। তবে তিনি কারো নাম বলতে রাজি হননি।
দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আচরণবিধি মেনে না চলা, অন্য প্রার্থী বা তাদের সমর্থককে হুমকি প্রদান করে মাঠ ছাড়ানোর চেষ্টাসহ নির্বাচনী নানা অনিয়মের কারণে তাদের শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক অভিযোগের বিষয়ে সমাধান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।