‘দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই মামলা-মোকদ্দমার তদন্ত নির্ভর করে’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে রায় হয়েছে, এ রায়ে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও আশাহত হয়েছি। প্রতিটি জিনিস সরকার দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই মামলা-মোকদ্দমার তদন্ত নির্ভর করে।’
আজ শুক্রবার কক্সবাজারের রামু সীমা মহাবিহারসংলগ্ন মেরংলোয়া মাঠে একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু উপ-সংঘরাজ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারাগারে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এত অসুস্থ যে তিনি নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। চিকিৎসকরা বলেছেন তাঁর অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দরকার। সেই অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট এ দেশে সম্ভব না বলেই আমরা জানি। ডাক্তাররাও মনে করেন, এর জন্য আরো কতগুলো বিষয় দেখা দরকার, যেটা বিদেশে হলে সবচেয়ে ভালো। আমরা প্রথম থেকেই আইনগত লড়াই করছি। সেই আইনগত লড়াইয়ের একপর্যায়ে গতকাল হাইকোর্টে তাঁর জামিনের ব্যাপারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে রায় আদালত থেকে হয়েছে, এ রায়ে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও আশাহত হয়েছি। প্রতিটি জিনিস তারা দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই মামলা-মোকদ্দমার তদন্ত নির্ভর করে। যার ফলে সুষ্ঠু তদন্তে কোনো কিছু বেরিয়ে আসে না। যেহেতু দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, এ কারণে সমস্যার সমাধান হয় না।’
দিল্লির সহিংসতা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছে, তা কারো জন্য কাম্য নয়, বিশেষ করে আঞ্চলিক শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আশা করব সেকুলারিজম অক্ষুণ্ণ রেখেই তারা (ভারত সরকার) তাদের কাজগুলো করবে। এটাও আশা করব, এনসিসি ও এনআরসি নিয়ে যে সমস্যা, তার সমাধান তাঁরা করবেন।’
এর আগে মির্জা ফখরুল প্রয়াত সত্যপ্রিয়র মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। রামু সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ উপ-সংঘরাজ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের গত ৪ অক্টোবর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ ১৪৮ দিন বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে সংরক্ষণের পর আগামীকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর দাহক্রিয়া সম্পাদন করা হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল প্রমুখ।