তূর্ণা-উদয়ন সংঘর্ষ : জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন ‘আগামী সপ্তাহে’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি আন্ত:নগর ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন দিতে পারেনি। আগামী সপ্তাহে এই প্রতিবেদন আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকাগামী তূর্ণ নিশীথা ও চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে এই সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চারটি এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটিসহ মোট পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
এর মধ্যে রেলওয়ের দুটি কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে, দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণ নিশীথার চালক, সহকারী চালক ও গার্ডকে দায়ী করা হয়েছে। এই তিনজনই দুর্ঘটনার পর থেকে সাময়িক বরখাস্ত আছেন।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দুর্ঘটনার পর থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু চালক, মন্দবাগ স্টেশনের স্টেশন মাস্টারসহ কয়েকজনের সাক্ষাতকার নিতে না পারায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়ম।
আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বেসিক্যালি যে জায়গাটায় আটকে ছিলাম সেটা হল, আমরা সে সময় রেলওয়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।’
‘এ ছাড়া যে স্টেশন মাস্টার ছিলেন বা সিগন্যাল দেওয়ার জন্য যে দায়িত্বে ছিলেন এবং দুইটা ট্রেনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। সে কারণে আমাদের তদন্তটা ওই জায়গাতে থেমে ছিল। আশা করছি, এই জটটা খুলে সামনের সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্টটা দিতে পারব।’ এর মধ্যে দুটি প্রতিবেদন জমা হয়েছে জানিয়ে মিতু মরিয়ম বলেন, ‘সেগুলো রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ওখানেই জমা হচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই তাদের হাইয়ার অথরিটি না, তাই আমাদের কাছে তদন্তের কপিও আসে না। সেজন্য আমরাও মিডিয়ার মাধ্যমেই জানতে পারি ওই দুই তদন্ত রিপোর্টে তারা চালকদেরই দায়ী করেছে।’
এদিকে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি।