ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে প্রচারের সময় গাবতলী এলাকায় প্রতিপক্ষের সমর্থকরা  হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এই হামলার ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তাবিথের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় প্রচার চালান নৌকা মার্কার প্রার্থী আতিকুল।

এ সময় বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মিছিলে হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আতিকুল বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ আর আমি কয়েকবার কিন্তু সামনা-সামনি হয়েছি। কোনো সমস্যা কিন্তু আমি দেখতে পারি নাই। হয়তো বা তাঁরা নিজেরাই বানাতে পারেন। নির্বাচন কমিশন আছেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন... তাদের অনুরোধ করব আপনারা সবাই আরো বেশি নজর দিন এ ব্যাপারে।’  

এ সময় নৌকা মার্কার পক্ষে গণজোয়ারের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, ‘যতই গণসংযোগ করা হচ্ছে, ততই মানুষের ভালোবাসা বাড়ছে।’

রাজধানীর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের কাছে ভোট চাইলেন মেয়রপ্রার্থী আতিকুল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তাবিথ আউয়াল আজ সকাল ১০টা থেকে গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপিনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিপুল নেতাকর্মী। তাবিথ আউয়াল প্রধান সড়ক দিয়ে হেঁটে হেঁটে লোকজনের মধ্যে হ্যান্ডবিল বিলি করেন এবং ধানের শীষে ভোট চান।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে আনন্দনগর তেলের মিল এলাকায় গেলে হঠাৎ পেছন থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। কয়েকটি ইট তাবিথের শরীরে এসেও পড়ে। এতে আহত হন কয়েকজন প্রচারকর্মী।

প্রচারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মুজিব সরোয়ার মাসুমের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা হামলাকারীদের প্রতিরোধ বা আটক করেননি।

এদিকে হামলার পরও গণসংযোগ অব্যাহত রাখেন তাবিথ আউয়াল।

হামলার পরপর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘যত বাধা আসুক, হামলা হোক, আমরা প্রচারণা চালিয়ে যাব। বাধা অতিক্রম করে ইনশা আল্লাহ সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’