তাপসের ছেড়ে দেওয়া আসনে লড়তে চান সাঈদ খোকন
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে এখনো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।
ওই পদে নির্বাচন করার জন্য জাতীয় সংসদের ওই আসনটি ছেড়ে দেন আওয়ামী লীগের ফজলে নূর তাপস। এখন ওই উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেন সাঈদ খোকন।
আজ শুক্রবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন সাঈদ খোকন। জানা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদ কামালও শুক্রবার ঢাকা-১০ থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানিয়েছেন, ঢাকা-১০ আসনে মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
এর আগে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। গত মঙ্গলবার মহিউদ্দিনের পক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস পদ ছেড়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করায় তাঁর সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ২৯ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। ১ ফেব্রুয়ারি ভোটে জিতে তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। একই দিনে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা-১০ আসনের পাশাপাশি আগামী ২১ মার্চ বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল অনুযায়ী ওই তিন আসনের উপনির্বাচনে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচার।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।’
বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি এবং গাইবান্ধা-৩ আসনের সাংসদ মো. ইউনুস আলী সরকার গত বছর ২৭ ডিম্বের মারা যান। পরে তাঁদের আসন দুটিও শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।