ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ : মজনুর বিরুদ্ধে আরো তিনজনের সাক্ষ্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে ভিকটিমের দুই বান্ধবীসহ তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মজনুর পক্ষের আইনজীবী (রাষ্ট্রনিযুক্ত) রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।’
সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আসামি মজনুকে শনাক্ত করে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাবির ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে মজনু কারাগারে আছেন।
গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় কোনো কার্যক্রম হয়নি। গত ২৬ আগস্ট একই আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।