ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দুই সিটির নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি করে মোট ২০ কোটি টাকা। আর দুই সিটির ভোটে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
বাজেট শাখা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরিচালনা খাতের ব্যয়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকছে ১১ কোটি ১০ লাখ, ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, মনিহারি দ্রব্যের জন্য এক কোটি, ফুয়েলসহ পরিবহনের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য খরচ হবে ২৫ লাখ টাকা।
এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। প্রতি কেন্দ্রে ইভিমের টেকনিক্যাল কাজের জন্য দুইজন সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। তাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা খাত থেকেই বরাদ্দ থাকবে। বাজেট শাখা বলছে, তাদের জন্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকার মতো বরাদ্দ থাকবে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতভিত্তিক কিছু বরাদ্দ রয়েছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ২৫ কোটি টাকা ধরা হলেও কোন বাহিনী কত বরাদ্দ পাবে সেটি এখনো নির্ধারণ করেনি ইসি। কোন কেন্দ্রে কতজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন, মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স কতজন থাকবেন—এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয় নির্ধারিত হবে।
তবে আগামী ২২ জানুয়ারি ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে বসে তারা একটি চাহিদা উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে বাজেট শাখা সূত্রে।
এ বিষয়ে বাজেট শাখার উপসচিব মো. এনামুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুই সিটি নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট করা হয়েছে। বাজেটে নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ইভিএমের জন্য কোনো টাকা আমাদের দিতে হচ্ছে না, সেটি ইভিএম প্রকল্প থেকে মেইনটেইন করা হবে। তবে যারা কেন্দ্রে ইভিএমের টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত থাকবেন, তাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা খাতেই বরাদ্দ থাকবে।’
জানা যায়, ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বিভক্ত ঢাকার দুই সিটির প্রথম নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা।