ডেঙ্গু : ব্যর্থদের চিহ্নিত করতে দুই মাস সময় আবেদন
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে ব্যর্থতার কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে দুই মাস সময় চেয়েছে গঠিত কমিটি।
বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রধান ঢাকার জেলা জজ হেলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সময় চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি গত ১০ ডিসেম্বর ও ৬ জানুয়ারি দুটি সভা করেছে। ৬ জানুয়ারি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার কারণ, প্রতিকার, দমন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের একজন করে শিক্ষক, আইসিডিডিআরবি’র বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, সরকারের প্ল্যান প্রোটেকশন বিভাগের একজন এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের প্রতিনিধির কাছে এ মতামত চেয়েছেন কমিটি।
এ কারণে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আরো সময় প্রয়োজন। এ ছাড়া চিঠিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতেও কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান জানান, আরো দুই মাস সময় বাড়ানোর জন্য কমিটির একটি চিঠি এসেছে। আগামী সোমবার এই মামলা শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছর ১২ নভেম্বর এক আদেশে ঢাকা জেলা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। কমিটির অপর সদস্য হলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা। কমিটিকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় ওই কমিটি একাধিক বৈঠক করেছে বলে আদালতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদন প্রস্তত করতে সময় দরকার। এ কারণে আরো ৬০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে।
গত বছর ১৪ জুলাই আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ বিস্তার রোধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।