ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এর আগে তাঁকে প্লাজমা দেওয়া হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ এনটিভি অনলাইনকে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য জানান।
মো. ফরহাদ বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। একটা প্লাজমাও নিয়েছেন তিনি। এর আগেও দুবার তাঁকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। এখন একটু ভালোর দিকে। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে অক্সিজেন লাগছে না, জানি না আল্লাহ কতক্ষণ ঠিক রাখে।’
ফরহাদ আরো বলেন, ‘আগে যে সিরিয়াস অবস্থা ছিল, এখন আর ওরকম হচ্ছে না। স্যারের শ্বাসকষ্ট বেশি ছিল, সিরিয়াস ছিল। ওটা এখন আর নেই। স্যার একটু ভালোর দিকে। গত রাতে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ফরহাদ বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকে স্যারকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। রাতে অক্সিজেন দেওয়া ছিল। সকালে নাশতার সময় একটু অক্সিজেন খোলা হয়েছে। তারপর আবার দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন দিলে তিনি ভালো অনুভব করেন, তাই এখনো দেওয়া আছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষা থেকেও গত ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।
৭৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক ও মুক্তিযোদ্ধা গত ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও করোনায় সংক্রমিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। গত ২৬ মে তিনি প্লাজমা থেরাপি নেন। এরপর ২৫ মে রাতে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্লাজমা থেরাপি নেন। গতকাল শুক্রবার থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে গতকাল দুপুর থেকে তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়।