টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ ‘মাদক কারবারি’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ আজ শনিবার সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা দাবি করেছেন, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৮৬ হাজার ইয়াবা ও তিনটি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত হয়েছেন বিজিবি ও পুলিশের ছয় সদস্য।
নিহতদের মধ্যে শুধু মুছা আকবর নামের এক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি উপজেলার হোয়াইক্যং তুলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে।
বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান দাবি করেন, মাদক চোরাচালানের খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল অবস্থান নেয়।
‘এ সময় চার থেকে পাঁচজন মাদক কারবারি নাফ নদ অতিক্রম করে মাদকের চালান নিয়ে আসে। তাদের ধাওয়া দিলে তারা বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।’
বিজিবি কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ তিন যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি উল্লেখ করে বিজিবি অধিনায়ক আরো বলেন, তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে।
আহত তিন বিজিবি সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দাবি করেন, আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল হতে ছয় হাজার ইয়াবা ও একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।