‘টাকাওয়ালা ও বিত্তশালী অন্য দলের লোক আ.লীগে প্রয়োজন নেই’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তাদের দলে কোনো স্থান নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তাই নতুনদের স্থান করে দিতে হবে। টাকাওয়ালা ও বিত্তশালী অন্য দলের লোক আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু। সরকারি নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়ড়া উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন,‘নতুনদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
বন্দুকের নলের জোরে জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন দাবি করে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, ‘তাঁরা দুইজনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, কিন্তু উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দূর করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সব শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এখন গ্রামে গ্রামে মানুষ বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছে, বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে সবার ঘরে। এখন আর কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বর্তমান সরকার।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমু বলেন, ‘১৯৭৮ সালে স্যাটেলাইট স্থাপনের চিন্তা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু সেই স্যাটেলাইট ৩০ বছর পরে স্থাপন করতে হয়েছে। আজকে বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি আলোকিত জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে এখন সবাই উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখছে। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। মেট্রোরেল স্থাপন হচ্ছে, উড়াল সেতু হচ্ছে, পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এসব কিছু সম্ভব হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস লস্কর। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তছলিম উদ্দিন চৌধুরীকে পুনরায় সভাপতি ও ইউনুস লস্করকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় হোসেন আকন খোকনকে।