ঝড়-মহামারি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারি আসবে। সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোনো কঠিন কাজ নয়।’
সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘এই সত্য আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থনে আমরা করোনাভাইরাস মহামারীর আড়াই মাস অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছি। যতদিন না এই সঙ্কট কাটবে, ততদিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সবাইকে ঘরে বসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ সরকারের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তাদেরকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব কাজ করতে গিয়ে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা, ব্যাংককর্মী এবং সংবাদকর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ব্যাংক ও সংবাদকর্মী এরমধ্যে মারা গেছেন। আমি তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এরইমধ্যে চিকিৎসা সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাসপাতালকেও আমরা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করেছি। জরুরিভিত্তিতে দুই হাজার ডাক্তার এবং পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।’