ঝালকাঠিতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় এসআইকে কারাদণ্ড
একাধিকবার তাগিদ দেওয়ার পরও আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়ায় ঝালকাঠি সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাসকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ২৫০ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। টাকা পরিশোধ না করলে আরো এক দিনের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এসআই টিপু লাল দাসের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ভাওতিতা গ্রামে রফিক মল্লিকের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী নাছিমা আক্তারের (৩৫) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন ঝালকাঠি থানায় কর্মরত এসআই টিপু লাল দাস ওই নারীর সুরতহাল তৈরি করেন। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়।
সুরতহাল প্রস্তুতকারী হিসেবে এসআই টিপু লাল দাস এ মামলার সাক্ষী হন। গৃহবধূ নাছিমা আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে নিহতের ভাই আলম হোসেন বাদী হয়ে আদালতে নালিশি মামলা করে।
অভিযোগে নিহতের ভাই দাবি করেছেন, তার বোনকে বাবার বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য স্বামী প্রায়ই মারধর করতেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে নাছিমাকে হত্যা করে। পুলিশের সুরাতহালে তার শরীরে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না, তবে মুখ থেকে সাদা ফেনা বের হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে কারণেই এ মামলায় এসআই টিপু লাল দাসের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। টিপু লাল দাস ঝালকাঠি থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে আদালত একাধিকবার তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান। আদালতে সাক্ষী দিতে না আসায় ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত গত ১৬ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশসহ আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমন জারি করেন।
আজ এ মামলার ধার্য করা দিনে আদালতে এসআই টিপু লাল দাস উপস্থিত হয়নি। এ সময় তার অনুপস্থিতিতে আদালত সাজার আদেশ ঘোষণা করেন। টিপু লাল দাস বর্তমানে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় কর্মরত আছেন।