জিয়াউর রহমানের পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার পদত্যাগের দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর একটি বিকৃত এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত নারী ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’

অবিলম্বে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বহনকারী একজন ব্যক্তির এ ধরনের ঘৃণ্য ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের প্রতিকার দাবি করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী যে দুর্বলতার মানুষই হোন না কেন, একজন জাতীয় পতাকাধারী ব্যক্তির এ ধরনের মনোবৈকল্য উৎসারিত বিকৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হয়ে এই মুহূর্ত পর্যন্ত বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। ঠিক তখনই তার পরিবারের একজন নারী সদস্য তথা পরিবারের বিভিন্ন জন সম্পর্কে এমন অশ্লীল ঘৃণ্য অপপ্রচার এরই মধ্যে নারী নেতৃত্বসহ দেশের সচেতন সব মহলের ঘৃণা কুড়িয়েছে।’

অবিলম্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে হীন রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলক এই নারী ও বর্ণবিদ্বেষী বিকৃত মন্তব্য প্রত্যাহার করে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। অন্যথায় ভবিষ্যতে যথাসময়ে এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির মহাসচিব।