বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। গতকাল শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকার যখন করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যখন সরকারের চরম উদাসীনতায় লাখো মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, হাজারও মানুষ ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রাণ হারাচ্ছে, যখন সরকারি দলের লুটেরাদের দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ ও দুর্নীতির কবলে পড়ে দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে, তখন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার এক গভীর ষড়যন্ত্র।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দীর্ঘ নয় বছর স্বৈচারারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ায় তাঁর যেসব অবদান জাতি সবসময় তা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে মনে রেখেছে। তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাঁকে পরাজিত করা যাবে না।’

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘দলের স্থায়ী কমিটির সভায় কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে দলের কেন্দ্রীয় অঙ্গসংগঠনসমূহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, জাসাস, মুক্তিযোদ্ধা দল। সব জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোও কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করবে। একই সঙ্গে সভা, সেমিনার, ওয়েবিনার, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে বিশ্বাসী বিএনপি।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আবার প্রমাণিত হয়েছে, এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার যোগ্য নয়। তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’ এই নির্বাচনকে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানান তিনি।