জাবির ভিসিকে বোরকা পরে পালাতে হবে : মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে রাতের অন্ধকারে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে হবে। দু-একজন ছাড়া অধিকাংশ ভিসিই বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকাপয়সা লুটপাট করার কাজে ব্যস্ত আছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক মানববন্ধনে মান্না এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নামকরা, এরা এক একটা টেন্ডারবাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের গুন্ডা কারা? তাকে রক্ষা করতে যায় কে? যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের গুন্ডারা।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, এখন যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা সব বলে বেড়াচ্ছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান করছেন। তাহলে শুদ্ধি অভিযানের শুরুতে তো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের চাকরি চলে যাওয়া উচিত। তাহলে যাচ্ছে না কেন? গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের চাকরি যায়নি। সবাই দাবি করছে, কিন্তু তার চাকরি যায়নি। অবশেষে শিক্ষার্থীরা এমন সর্বাত্মক আন্দোলন করলো যে, তাঁকে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতে হয়েছে। অপেক্ষা করেন, জাহাঙ্গীরনগরের এই ভিসিকে রাতের অন্ধকারে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে হবে সেদিন বেশি দূরে নয়।
মান্না বলেন, আপনারা জানেন দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের যে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তারা জানতে চায়। কারণ উন্নয়ন প্রকল্প যথাযথ নয়, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে না। এখানে লুটপাট চলছে। তাদের জিজ্ঞাসা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) মান্না বলেন, সবশেষে গতকালকে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমরা আপনারা দেখেছেন। অভ্যুত্থান মানে কি সেটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জানেন না। অভ্যুত্থান উনি দেখেন নাই। সেটার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনতার অভ্যুত্থানকে নিয়ে অপমান করেছেন। কয়েকজন গুণ্ডা গিয়ে অন্তত চারজন শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে। অনেক ছাত্রদের আহত করেছে। তারপরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি বলেন, এটা ছাত্রদের অভ্যুত্থান। তাহলে এর চেয়ে লজ্জার কোনো ব্যাপার থাকে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মীজানুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিজের খায়েশ প্রকাশ করে বলেছেন, উনি নাকি যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে চান। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কিভাবে যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে চায়? কী মধু আছে যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে।
মানববন্ধনে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।