জন্মদিনের পার্টিতে ‘স্পিরিট’ পানে ৩ বন্ধুর মৃত্যু, লড়ছে ৩ জন
কুষ্টিয়ায় বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে কোমল পানীয়ের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির ডাইলেশন নামে এক ধরেনর স্পিরিট পানে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নিহতরা হলেন জাহিদুল রহমান সাজিদ (১৮), ফাহিম হোসেন (১৭) ও পাভেল হোসেন (১৭)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে সুরুজ নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাজিদ বিকেএসপির বাস্কেটবল খেলোয়ার ও কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা, ফাহিম হোসেন কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ও তাঁর বাড়ি থানাপাড়া এলাকায়। পাভেল হোসেন শহরের মৌ ফ্যাশানের কর্মচারি ও চড় থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও সাজিদের সহপাঠীরা জানান, সাজিদের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু মিলে শহরের ইসলামিয়া কলেজের একটি কক্ষে কেক কাটার আয়োজন করে। সেখানে কেক ও বিরিয়ানি খাবার পর ছয় বন্ধু নেশা করতে কোমল পানীয়ের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির ডাইলেশন নামে অ্যালকোহল কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে। এর কিছুক্ষণ পর গুরুতর অসুস্থ হলে তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার কিছু আগে সাজিদ এবং তারপর ফাহিম ও রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাভেল হোসেন মারা যান।
কুষ্টিয়া জেনারের হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘দুপুরের পরে আননোন পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়ে ছয়জন একসঙ্গে হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি বুঝে সুরুজ নামে একজনকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়েছে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অবস্থান করা কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যে যেখান থেকে এই নিষিদ্ধ ওষুধ কেনা হয়েছে সেই রাফি হোমিও হলের বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’