চেয়ারম্যান স্থায়ী বহিষ্কার, ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ
ত্রাণের ১৫ মেট্রিকটন সরকারি চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় পরোক্ষভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামকে অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে তাঁকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সুপারিশক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৯ এপ্রিল ৪২৮ নম্বর স্মারকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) (ঘ) অনুযায়ী তাঁকে কেন চূড়ান্ত অপসারণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ও বিভাগীয় তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই আইনের ৩৪ (৫) ধারায় তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ/স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাতকে এ ঘটনায় পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয়েছে। তাঁর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।