চলতি অর্থবছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা রপ্তানি খাতে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, পণ্য রপ্তানি খাতে ২১.৭৫ ভাগ এবং সেবা রপ্তানিতে খাতে ৯.৪৬ ভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী জুম প্ল্যাটফর্মে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্ববাণিজ্যে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, দেশীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত লক্ষাধিক কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা, রপ্তানি সম্ভাবনাময় নতুন পণ্য ও সেবা খাতের বিকাশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্সের পর্যালোচনা মোতাবেক গৃহীত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপসহ গতবছরের রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা পর্যালোচনা করে এ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্যে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাবের ফলে বিগত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে পণ্যখাতের রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে, তবে জুন মাস থেকে তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আশা করা যায়, সঠিক নীতি অনুসরণ এবং সময়মতো তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানির গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চলতি অর্থ বছরের ছয় মাস পর বিশ্বঅর্থনীতি এবং আমাদেরর রপ্তানির গতিচিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে আজ ঘোষিত ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পুননির্ধারণ করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বছর কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার সবকিছু করবে। বিষয়টির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এবং বিগত দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চামড়া সংগ্রহের জন্য এবার কোনো অর্থ সংকট থাকবে না। এবার প্রয়োজনে সরকার কাঁচাচামড়া রপ্তানির বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। গত বছরের মতো পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই হতে দেওয়া হবে না। কয়েকদিনের মধ্যে ট্যানারি মালিকরা চামড়ার ক্রয়মূল্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশাবাদী এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সঞ্চালনায় এই ব্রিফিংয়ে আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেসিস-এর সভাপতি আলমাস কবীর, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম ও বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম।