চট্টগ্রাম নগরীর ৮৮ পাহাড় উধাও
স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় উধাও হয়ে গেছে। একই সময়ে আংশিক কাটা হয়েছে ৯৫টি। এরপরের ১২ বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এবং চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শক্তিশালী পাহাড় রক্ষা কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চুয়েটের সাবেক ভিসি প্রফেসর মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় পুরোটাই বিলুপ্ত হয়েছে। একই সময়ে আংশিক কাটা হয়েছে ৯৫টি। এরপরের ১২ বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাহাড় নিধন। বেশির ভাগ পাহাড় কাটা হয় পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার মতিঝরনা, ষোলশহর ও ফয়স লেকে।
এক গবেষণার বরাতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে জঙ্গল সলিমপুর এবং আলীনগরে ২০০০ সাল থেকে গত ২২ বছরে অর্ধ শতাধিক পাহাড় সংঘবন্ধভাবে নিধন করা হয়েছে। এখানে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় ছিল তিন হাজার ১শত একর। কিন্তু, গত দুই যুগের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জনের চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাহিনী চট্টগ্রামের এই জঙ্গল সলিমপুর এবং আলিনগর এলাকার পাহাড় কেটে আলাদা এক সাম্রাজ্য তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম ও চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের উপদেষ্টা কাজী আবুল মনসুর, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলের সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের উপদেষ্টা চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান সোহেল, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম পেয়ার আলী প্রমুখ।