চট্টগ্রামে বিএনপি-যুবদলের ১৬ নেতাকর্মী কারাগারে
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৬ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ১০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নগরীর বায়েজিদ থানায় এ মামলাটি করা হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে এ আদেশ দেওয়া হয়।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী, বিএনপি নেতা ডা. ফরহাদ, রুহুল আমিন, হাসান সওদাগর, মনজুরুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, এরশাদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ খোকন, মহানগর যুবদলের সহপ্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, সহসম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন ভুট্টো, হুমায়ুন কবীর, সদস্য মোহাম্মদ নাছির, ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আকবর হোসেন ও খাজা স্বপন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘দুই বছর আগের দায়ের হওয়া নাশকতার আটটি মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষে আমি বিরোধিতা করি। আদালত শুনানি শেষে ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হক বলেন, ‘মামলায় উল্লেখিত কোনো আসামিই ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আদালত বয়স বিবেচনায় ১০ জনকে জামিন দিয়েছেন। বাকি ১৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। যদি মামলার মেরিট বিবেচনা করা হতো তবে সবাই জামিন পেতেন।’
এদিকে, তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সমাবেশ করে নগর বিএনপি। সমাবেশে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘করোনাকালীনও সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। বর্তমানে করোনা ঝুঁকির মধ্যেই নেতাকর্মীরা কারাগারে দিনাতিপাত করছে। কারাগারে বন্দিদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি থাকার পরও মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাদের কারাগারে পাঠাচ্ছে। দিন দিন সরকার হিংস্র আচরণ করছে। সব কিছুর একদিন শেষ হবে, অন্যায়-অত্যাচারের দিন শেষে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ও সাত্তার সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা।