চট্টগ্রামে বান্ধবীর পাহারায় তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে কথিত বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় ওই বান্ধবী পাহারা দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বান্ধবী ও তাঁর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার ১ নম্বর সুপারিওয়ালাপাড়ার চান্দু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন নুরী আক্তার (২০) ও তাঁর স্বামী মো. অন্তর (২৪) এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির দেহরক্ষী মো. রাজিব (২৬)।
ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, এলাকায় বিভিন্নভাবে ক্ষমতাবান চান্দু মিয়ার চারতলা বাড়িতে নুরী বিভিন্ন সময় চান্দুকে অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করে আসছিলেন বলে জানতে পেরেছি। নুরী ও তাঁর স্বামী অন্তর কদমতলীতে থাকেন। চান্দু মিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় চারটি মামলা রয়েছে। তিনি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
ধর্ষণের শিকার তরুণীর বরাত দিয়ে এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, 'ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। সপ্তাহখানেক আগে ফেনী থেকে তিনি নগরীর আগ্রাবাদের চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন। তাঁর চাচাত বোনের বান্ধবী গ্রেপ্তার হওয়া নুরী। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নুরী ওই তরুণীকে তাঁর বাসায় বেড়াতে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে নুরী কৌশলে তাঁকে চান্দুর বাসায় পৌঁছে দেন। বাসার ভেতরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পাহারায় ছিলেন নুরী। চান্দু মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর নুরী ওই তরুণীকে তাঁর চাচার বাসায় পৌঁছে দেন। কিন্তু বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তরুণীকে বাসার লোকজন জিজ্ঞাসা করলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন। তখন তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ডবলমুরিং থানায় খবর দেওয়া হয়।
এসআই নুরুল ইসলাম আরো জানান, খবর পেয়ে বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরীকে আটক করা হয়। নুরীর কাছে মোবাইল নিতে এসে আটক হন স্বামী অন্তর। চার দিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তবে মো. অন্তর ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ দাশ জানান, তরুণীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আাসামি করে মামলা করেছেন। এরপর ১ নম্বর সুপারিওয়ালাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চান্দুর দেহরক্ষী মো. রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মূল অভিযুক্ত পলাতক চান্দুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এসআই নুরুল ইসলাম।