চট্টগ্রামে তৈরি পিপিই দিয়ে সুরক্ষা পাচ্ছেন চিকিৎসকসহ পেশাজীবীরা
দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন বাসায় বন্দি, তখন চট্টগ্রামের ইপিজেডের কয়েকটি কারখানায় কাজে ব্যস্ত শত শত শ্রমিক। দেশের মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি জেনেও নিরলসভাবে কাজ করছেন এসব পোশাক শ্রমিক। এর মধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য এক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক-পিপিই তৈরিতে ব্যস্ত চট্টগ্রাম ইপিজেডের স্মার্ট জ্যাকেট (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকরা। এসব পোশাক স্বাস্থ্যকর্মীদের শতভাগ সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পিপিই সংকটের এই মুহূর্তে স্মার্ট জ্যাকেট (বিডি) লিমিটেডে আরো এক লাখ পিপিই তৈরির কাঁচামাল মজুদ আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে অনেক দুঃসংবাদের মধ্যে আশার আলো দেখছেন স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান।
মুজিবুর রহমান জানান, এই দুর্যোগের সময়ে চিকিৎসকরাই জাতির প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। জীবনের মায়া ছেড়ে চিকিৎসাসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকার ও শিল্প মালিকদের দায়িত্বের মধ্যে তিনি এ কাজ করছেন বলে জানান।
এ ছাড়া বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের জন্য পিপিই দিয়েছেন মাস্টার নজির আহমদ ট্রাস্ট। শুক্রবার সকালে ট্রাস্টের সদস্য সচিব স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান সিআইপির পক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসব পিপিই হস্তান্তর করা হয়। দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম আতিক ও সাংবাদিক রাহুল দাশ নয়নের কাছ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদারসহ চিকিৎসকরা পিপিইগুলো গ্রহণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহিদ চৌধুরী, ডা. রহিম উদ্দিন, ডা. শুভাশীষ ত্রিপাঠি, ডা. শর্মিলা তুহিন প্রমুখ।
এদিকে আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের হাতে নিরাপত্তা পোশাক হস্তান্তর করেন বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব। এ সময় তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি পুলিশ সদস্যদের জন্য কিছু পিপিই ও মাস্ক তৈরি করেছেন। কাপড় ও পণ্যের সংকটের কারণে প্রয়োজনের বেশি তৈরি করা যাচ্ছে না বলে জানান আবু তৈয়ব। তারপরও চীন ও ইউরোপ থেকে পিপিই আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সহসা সংকট কাটাতে পারবেন বলে জানান তিনি।