চট্টগ্রামের মেয়র, ইসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নবনির্বাচিত মেয়র, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বিএনপির পরাজিত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. খায়রুল আমীনের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। এতে চসিক নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চাওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলায় নতুন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মেয়র পদে আরও পাঁচ প্রার্থীসহ মোট নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নির্বাচনে নানা অনিয়ম তুলে ধরে ডা. শাহাদাত হোসেন ও তাঁর আইনজীবীরা জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সিটি নির্বাচনে যে ২২ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে তা সঠিক নয়। বাস্তবে সাড়ে সাত শতাংশ ভোট পড়েছে। যার চার থেকে পাঁচ শতাংশ ছিল বিএনপির প্রার্থীর ভোট।
এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে থানার ওসি ও পুলিশ সদস্যরা বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি সমর্থিত এজেন্ট প্রবেশে বাধা, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, বুথের ভেতর গোপন কক্ষে ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপে নৌকার ভোট নিশ্চিত করাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয় মামলায়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ২২.৫২ ভাগ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেখানে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা মার্কায় ভোট পড়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ২৪৮টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৪৮ ভোট।
এ ছাড়া মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন আট হাজার ৯৮০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর আম প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৬৫৩ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ১২৬ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।