চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ, চাচা গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণ করেছে তার বাবার চাচাতো ভাই ইউনুস ফকির (৫০)। এ অভিযোগে গতকাল সোমবার বিকেলে ইউনুস ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে রাজৈর থানা পুলিশ। পরে তাকে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ইউনুস ফকির ঘর ফাঁকা থাকায় তার চাচাতো ভাইয়ের শিশু মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার দুপুরে তার ঘরে ডেকে নেয়। অনেক সময় ধরে ওই শিশুকে তার মা খুঁজে না পেয়ে ইউনুসের ঘরের সামনে গেলে দেখেন, দরজার সামনে স্যান্ডেল রাখা। এ সময় শিশুর মা ঘরে গেলে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পান। শিশুর মা চিৎকার করলে তাকে হুমকি-ধমকি দেয় ইউনুস।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠেপড়ে লাগে। অনেক কৌশলেই সোমবার দুপুরে ওই শিশুর মা তার বাবার বাড়ি (শিশুর নানা বাড়ি) যাওয়ার কথা বলে রাজৈর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইউনুস ফকিরকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে ওই ঘরের সামনে গেলে দেখি ঘরের সামনে আমার মেয়ের স্যান্ডেল রাখা। পরে আমি ঘরে ঢুকে দেখি এই অবস্থা। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। আমি কৌশলে সোমবার আমার বাবার বাড়ি যাব বলে বাড়ি থেকে থানায় আসি। আমি এর বিচার চাই।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত ইউনুসকে গ্রেপ্তার করি। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষককে মাদারীপুর আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মেডিকেল চেকআপ করা হবে।’