ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যায়
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৩টি জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাঁদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৩টি জেলার প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সওজ, এলজিইডিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ, এনজিও ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার সময় করণীয় বিষয়গুলো জানিয়ে মাইকিং করে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আগামীকাল শনিবার বিকেলের পর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
আজ শুক্রবার আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাগরে চলাচল না করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি ওই তথ্য জানিয়েছে।
এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৬টায় পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়। এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।