‘গুণ্ডামি করে লাভ নেই’ ছাত্রদলের উদ্দেশে ছাত্রলীগের সভাপতি
‘আজ জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা, ছাত্রদলের গুণ্ডাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গুণ্ডামি করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাঠে আছে।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে আজ মঙ্গলবার আনন্দ র্যা্লি শেষে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যানলি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। র্যা লিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সড়ক ঘুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাঠে আছে। গত দুদিন আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। ছাত্রদলের গুণ্ডারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। বাঁশ দিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলকে আর অরাজকতার সুযোগ আমরা দেব না।’
সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বাংলাদেশ। গত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠকে বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করিয়েছেন। তিনি এখন দেশরত্ন থেকে বিশ্বরত্ন। ঠিক সেই সময়ে একটি পক্ষের চুলকানি শুরু হয়েছে, তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা দিবাস্বপ্ন দেখেছিল সরকার হটানোর। এত সহজ না। বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস। সেই ইতিহাসের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখানে স্থান পাবে না।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন আজকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, যখনই আমরা কোনো সুখবর পাই, তখনই তাদের চুলকানি শুরু হয়। আপনারা দেখেছেন, এই কোভিডের মধ্যে তারা একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা করেছে। তারা আল জাজিরার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছে, ছাত্রদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। এত দিন তারা বলত, পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে, এখন আমরা দেখেছি পুলিশের ওপর ছাত্রদলের গুণ্ডারা ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছে। কারাভ্যন্তরে একজন লেখকের মৃত্যুকে ইস্যু করার পাঁয়তারা করছে। যেখানে মৃত ব্যক্তির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হচ্ছে না, সেখানে রাজাকারের মদদপুষ্ট একদল রাজনীতিক পরিবেশ ঘোলাটে করার ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে। বিপ্লবকে তারা ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। সব যৌক্তিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেকোনো মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। যারা লাশ নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত রয়েছে। লাশ নিয়ে আপনারা ব্যবসা করবেন, সওদাগরি করবেন না, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটা কর্মীও জীবিত থাকতে আপনারা সফল হবেন না।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় প্রমুখ বক্তব্য দেন।