গাজীপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী-শাশুড়ি-ভাসুর গ্রেপ্তার
গাজীপুরের টঙ্গীর শিলমুন পূর্বপাড়া এলাকার গৃহবধূ সাথী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১-এর সদস্যরা। আজ শনিবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার প্রধান আসামি ও নিহত সাথীর স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবু (৩০), শাশুড়ি সালেহা বেগম (৫৫) ও ভাসুর সালাহ উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-১ জানায়, প্রায় এক বছর আগে সারোয়ার হোসেন বাবুর সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন সাথীর পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে তারা একপর্যায়ে সাথীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। সাথীর বাবা সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে তাঁর মেয়ে জামাইকে নগদ দুই লাখ টাকা দেন। এর পরও তাঁরা বাকি টাকার জন্য তাঁকে নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর সাথীকে যৌতুকের বাকি টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। সাথী তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁরা সাথীর ওপর চড়াও হন এবং ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে সাথীর স্বামী তাঁর মা-বাবা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আজ টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করে।
প্রায় এক বছর আগে টঙ্গীর জাভান হোটেলের বার ড্যান্সার সাথী আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় শিলমুন এলাকার সারোয়ার হোসেন বাবুর। পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাবু ও সাথী। কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত ও এক কন্যাসন্তান ছিল বাবুর। প্রথম স্ত্রী ও পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করায় এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বাবুর পরিবার।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শুভ মণ্ডল জানান, আজ রোববার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।