‘খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা আর রাজনীতি এক করে দেখা অপরাধ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা কারাবন্দির সঙ্গে অন্যকিছুকে যুক্ত করাটা ঠিক হবে না। কারণ খালেদা জিয়ার বিষয়টা অসুস্থতার বিষয়, চিকিৎসার বিষয়, রাজনৈতিক বিষয় না। তাই আমাদের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সুচিকিৎসার বিষয়টা এক করাটা এক ধরনের অপরাধ।’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আজ সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেত্রী। যে গণতন্ত্র হলো স্বাধীনতার মূল চেতনা। অর্থাৎ স্বাধীনতার চেতনা পুনরুদ্ধারকারী নেত্রী। এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষকে বিনা চিকিৎসায় অকালে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করার অধিকার কারোর নেই।’
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এর আগেও যিনি তথ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং এখন যিনি আছেন উনারা হলেন জিয়া পরিবারের সমালোচনাবিষয়ক মন্ত্রী। কারণ কাজের বিষয়ে তারা যত কথা বলে তার চেয়ে বেশি কথা বলে তারা শহীদ জিয়ার বিপক্ষে, খালেদা জিয়ার বিপক্ষে এবং তারেক রহমানের বিপক্ষে। মনে হয়, এটাই তাদের মন্ত্রণালয়।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া একটা বিচারে কারারুদ্ধ হয়ে আছেন। তিনি দারুণভাবে অসুস্থ, দেশ-বিদেশের সবাই তা জানেন। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন- এ নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ নাই। এই কোভিড-১৯ চলাকালে যখন বিমান পরিবহন বন্ধ ও কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারে না- সেই রকম সময় তাঁকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাসায় থাকার ফলে উনার অন্তত মানসিক কষ্টটা কিছুটা কমেছে। কিন্তু তাঁর সুচিকিৎসার বিষয়টি; যেটা শুধু মানবিক না- এটা নৈতিক ও জনগণের দাবি। কেউ একজন অসুস্থ হলে তাঁর সুচিকিৎসা হওয়া দরকার। যদি প্রয়োজন হয়, উনি যদি বাইরে যেতে চান তবে যেন যেতে পারেন- এই ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। সেজন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলব, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশে যাওয়ার এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হোক।’
এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।