খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এটা করা সরকারের জন্যই ভালো। আল্লাহ না করুক, তাঁর (খালেদা জিয়া) কোনো ক্ষতি হলে এই দেশের জনগণ আপনাদের রেহাই দিবে না। তাই বিলম্ব না করে তাঁকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। নাহলে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপিনেতা এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে। আর কথায় কথায় বলে, উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ!’
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখানে মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের রাইফেল একবার গর্জে উঠেছিলো ১৯৭১ সালে। আরেকবার রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কথায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে সরকার ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছেন, চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। নির্বাচন কমিশনের একটি আইন হবে কিন্তু আগামী নির্বাচন এই আইনের অধীনে হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ আবারও ভোটের আগের রাতে অপজিশন পার্টিদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে মাঠ খালি করে নির্বাচনে পদ দখল করে নেবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে পরিষ্কার যে, আবারও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। এই সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। আবারও একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি যৌক্তিক। প্রয়োজন হলে সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও হাফ পাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।