খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাইবে পরিবার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করতে যাচ্ছে তাঁর পরিবার। দলের নেতারা জানিয়েছেন, শুধু মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোই নয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য এবার বিদেশ যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হবে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, দেশে যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব নয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার।
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আতংকের মধ্যেই গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মুক্তির পর থেকেই রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় আছেন তিনি, সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে তাঁর চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে এমনটা জানিয়ে দলের নেতারা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা মুক্তির শর্ত।
এ ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন তারও কোনো সুযোগ নেই। সেই কারণে এখনো তিনি উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাননি। আমরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’
বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আবেদনে বিদেশ যাওয়ার সুযোগও চাওয়া হবে জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘সরকার তাঁকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে শিগগির আবেদন করা হবে। মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হবে। সো দ্যাট, উনি চিকিৎসা করাতে পারবেন।’
‘আবেদনে থাকবে, তাঁর চিকিৎসা দেশে বা প্রয়োজনে বিদেশে হবে। প্রয়োজন হলে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য বিদেশে যাবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকার সেই অনুমতি দিবে, আমরা আশাবাদী’, যোগ করেন ব্যারিস্টার খোকন।
এদিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও বলছেন, ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাঁর বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার আর্থ্রাইটিস সমস্যা একটা জটিল পর্যায়ে চলে গেছে। অ্যাডভান্স পর্যায়ে চলে গেছে। অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্স সেন্টারেই পাঠাতে হবে। উনাকে এখন একটা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাবেন, সেই মানের হাসপাতালও বাংলাদেশে কতটুকু আছে সেটা ভাববার বিষয়।’
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।