খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের প্রতিহিংসা নেই : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের প্রতিহিংসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর জামিনের বিষয়টিও আদালতের এখতিয়ারে। সরকারের এখানে হস্তক্ষেপ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপির আমলে আদালতকে যেভাবে নিজেদের পকেটে রাখা হতো সেই অবস্থা এখন আর নেই। বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন।’
আজ মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে একজন যুগ্ম জেলা জজ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনটি সংশোধন হলে যুগ্ম জেলা জজের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজরাও এই মামলাগুলোর বিচার করতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একসেস টু জাসটিসকে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে জিপি- পিপিগণকে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রায়ই শোনা যায় কোনো কোনো জিপি-পিপি বিভিন্ন অজুহাতে আদালতে সময়ের দরখাস্ত দাখিল করে থাকেন। এটা মোটেই ঠিক না। মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ঢিলেঢালা বা গড়িমসি মনোভাব কাম্য নয়।’
আনিসুল হক বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সরকারি কৌঁসুলি এবং পাবলিক প্রসিকিউটরদের সার্ভিসকে একটি সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় এনে যুগোযোযোগী করার কথা ভাবছে। খুব সহসাই সরকার এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকদের আরো দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’