ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে : র্যাব
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলমান আছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযান এখনো চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সম্প্রতি অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো অপারেশন। এ ধরনের অভিযানও পরিচালনা করে আসছে র্যাব। অর্থাৎ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান বর্তমানেও অব্যাহত আছে। আগামীকাল শুক্রবার ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর পূর্ণ হবে। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়।’
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ক্যাসিনোবিরোধী মোট ১১টি অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রাজধানীতে আটটি ও চট্টগ্রামে তিনটি। এ অভিযানে আনুমানিক ২৭০ কোটি টাকার মতো এফডিআর ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। হঠাৎ করেই শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে একে একে ধরা পড়ে ক্ষমতাসীন দলের অনেক বড় নেতা। ক্যাসিনো অভিযানে ৩২টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে ১৪টি মামলা তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব পায় র্যাব। ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টি মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বাকি একটি মামলার চার্জশিট আদালতের নির্দেশক্রমে স্থগিত আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, এখনো নির্মূল করা যায়নি ক্যাসিনো ব্যবসা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডোমেইন থেকে ‘অনলাইন ক্যাসিনো’ চলছে। তবে সেগুলো একদমই ছোট পরিসরে। তারা এখনো শক্তভাবে অবস্থান করতে পারেনি। এসব ‘অনলাইন ক্যাসিনো’র ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব ও ঢাকা ওয়ান্ডারর্স ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ওই বছরের ছয় অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
এরপর একে একে গ্রেপ্তার হন গণপূর্তের ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিফুল আলম ফিরোজ, অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান সমন্বয়কারী সেলিম প্রধানসহ অনেকে। এ ছাড়া অভিযানের পর অনেকেই দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।