কুষ্টিয়ায় চাল আত্মসাতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন কারাগারে
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে ওএমএসের চাল আত্মসাতের ঘটনা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মহসিন হাসানের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এরপর জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন বিশ্বাস, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মারুফুল ইসলাম, চালের ডিলার মন্টু হোসেন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৪ নম্বর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন বিশ্বাস অন্য আসামিদের যোগসাজসে এসব চাল আত্মসাৎ করেন। দীর্ঘ চার বছর ধরে তারা খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের ১০ টাকা কেজি দরের চাল উত্তোলন ও তা তালিকাভুক্ত দুস্থদের না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। এ সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মিডিয়ায় প্রচার হলে তা কুষ্টিয়া আদালতের নজরে আসে।
এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত কুষ্টিয়ার সদর থানা পুলিশকে মামলার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে ২ জুনের মধ্যে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত করে আদালতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। প্রতিবেদনে ওএমএসের চাল আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) সুমিত্রা বিশ্বাস জানান, চাল আত্মসাতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামিদের জামিন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।