কুষ্টিয়ার কলেজছাত্র পলাশ হত্যার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কলেজছাত্র মো. পলাশ হোসেনকে হত্যার দায়ে চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর সাজার আদেশ দেন আদালত।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন সদর উপজেলার চৌড়হাঁস আদর্শপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৫), এরশাদনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সুজন (২২), পূর্ব মজমপুর এলাকার শাহরিয়ার নাইম রাব্বি (২৪) ও চৌড়হাঁস ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা পিয়াস (২৫)।
পলাশ হোসেন পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পলাশ হোসেন মোটরসাইকেলে করে পিটিআই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে পলাশের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আসামিরা। এতে গুরুতর আহত হন পলাশ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পলাশের।
এ ঘটনায় পলাশের মা সেলিনা বেগম ছয় আসামির নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল হালিম জানান, মেধাবী কলেজছাত্র পলাশ হত্যা মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় এবং বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর সাজার আদেশ দেন আদালত।