কুলিয়ারচরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় গৃহবধূ জুমেলা হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, একজনের সশ্রম যাবজ্জীবন ও দুজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি হলেন আবু তাহের। যাবজ্জীবন পাওয়া আসামি হলেন সিরাজুল ইসলাম। ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মিজানুর রহমান ও নজরুল ইসলাম। এ সময় মামলার অপর এক আসামি মুজিবুর রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিরা সবাই কুলিয়ারচর উপজেলার গুবরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলায় বাদীপক্ষে সরকার নিযুক্ত সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান জানান, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গুবরিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আবু তাহেরের লোকজন গৃহবধূ জমেলাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরের দিন নিহতের স্বামীর বোন পরশা বেগম বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কাউসার আলী। পরবর্তী সময়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল ২০১১ সালের ১১ মার্চ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম খসরু মামলা পরিচালনা করেন।