কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ইছাপুরায় গরুর খামারের মালিক ও কর্মচারীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দক্ষিণ সার্কেল) প্রশান্ত পাল ও লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।

নিহতরা হলেন উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা মজুমদারবাড়ীর হাসানুজ্জামানের ছেলে খামার মালিক শরীফুল ইসলাম (৩২) ও একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে খামার কর্মচারী ফয়েজ আহমেদ (২০)।

এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ‘সার্কেল স্যারসহ ঘটনাস্থলে আছি। দুজনের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।’ 

স্থানীয়রা জানান, ‘ওই গ্রামের শরীফুল ইসলাম কয়েক বছর ধরে নিজ বাড়ির সামনে মুদি দোকানের ব্যবসা করে আসছেন। পাশাপাশি তাঁর একটি গরুর খামারও রয়েছে। তাঁর খামার ও দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন ফয়েজ আহমেদ। গত ঈদুল আজহাতে শরীফুল ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু বিক্রি করেন।  গতকাল সোমবার রাতে শরীফুল দোকান বন্ধ করার পর কর্মচারী ফয়েজকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির নিজের কক্ষে ঘুমান। ওই সময় শরীফুলের বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে শরীফুলের বাবা বাড়িতে এসে দরজা তাঁর ছেলে মরদেহ ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত দেখতে পান। আর ফয়েজের মরদেহ খাটের উপরে শোয়ানো ছিল। ফয়েজের শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ওই সময় শরীফের বাবার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীও ঘটনাস্থলে আসে।

স্থানীয়রা জানান, গরু বিক্রির টাকার জন্য শরীফুলকে শ্বাসরোধ করে ও ফয়েজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদার বলেন, ‘শরীফুল অত্যন্ত ভালো ছেলে। গ্রামের সবাই তাঁকে পছন্দ করতো। গরুর বিক্রির টাকার জন্যই হয়ত দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।