কুমিল্লার কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শুক্রবার রাতে লালমনিরহাট থেকে রকি ও আজ শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার বড়জালা এলাকা থেকে আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ৬ নম্বর আসামি মো. আশিকুর রহমান রকি (২৯) ও ৭ নম্বর আসামি মো. আলম মিয়া (৩০)।
কুমিল্লা র্যাবের কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব জানান, কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের মামলার আসামিদের ধরতে র্যার দেশব্যাপী গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রাতে লালমনিরহাটের চণ্ডীবাজার এলাকা থেকে মামলার ৬ নম্বর আসামি আসিকুর রহমান রকিকে এবং আজ শনিবার দুপুরে একই মামলার ৭ নম্বর আসামি মো. আলম মিয়াকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বড়জালা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার ৪ নম্বর আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়। আর গত বুধবার দুপুরে ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল এবং তাঁর সহযোগীকে হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত সোহেলের পরিবার।
কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।