কাশিয়ানীর এক ওয়ার্ডে লকডাউন, জেলায় আক্রান্ত ৯০০ ছাড়াল
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড 'রেড জোন' চিহ্নিত করে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিকেলে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ স্বাস্থ্য ও পুলিশের লোকজন নিয়ে লকডাউন কার্যকর করেন।
ওই ওয়ার্ডের প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে পুলিশের পাহারা বসিয়ে মানুষ ও পরিবহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
এদিকে, ওই রেড জোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ২২ ব্যক্তিকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
এ সময় কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, কাশিয়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও সাব্বির আহমেদ বলেন, 'স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাশিয়ানী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন করার জন্য গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই ওয়ার্ড আমরা লকডাউন করেছি। কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ থেকে বাজার, থানা ও হাসপাতাল সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।'
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মো. কয়ূম তালুকদার বলেন, 'এ পর্যন্ত কাশিয়ানী উপজেলায় ১৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে দুজন। সুস্থ হয়েছে ১২১ জন ।
এদিকে, গোপালগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজন চিকিৎসক ও এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৩৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৭৩ জন ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে আটজন, মুকসুদপুরে তিনজন, কোটালীপাড়ায় দুজন, কাশিয়ানীতে ১৩ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পারমর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৫৯১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৯২ জন, কাশিয়ানীতে ১৭৪ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ২৬৫ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৫৬ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৭৫ জন।