করোনার দিনে তিনিও ম্যাজিস্ট্রেট!
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় এক নারীকে জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ পরিচয় দানকারী তিন পুরুষকেও আটক করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের তীরচর গ্রাম থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের গৃহবধূ মনি (২৯), তাঁর স্বামী মোগাম্মদ ফারুক (৩৬), একই গ্রামের লিটন (৪২) এবং অপরজন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের রহমান আলী (৩৫)।
পুলিশ পরিচয় দানকারী তিনজনের কাছ থেকে ‘অপরাধ জগত’ পত্রিকার পরিচয়পত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাতাঘাসী ইউনিয়নের সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রাতে তীরচর গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় বাবুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে এসে একটি মাইক্রোবাস থামে। গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা দোকানদার বাবুলকে আটক করেন। চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন দোকান খোলা রাখলেন সেজন্য দোকানিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন প্রতারকদের ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
ইউপি সদস্য আরো বলেন, ‘দোকানদার বাবুল মিয়া এক লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয় প্রতারকচক্র। এ সময় আমি ঘটনাস্থলে এসে ওয়ার্ড মেম্বার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে ওই নারী নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুরুষরা পুলিশ পরিচয় দেন। আমি তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তাঁরা এলোমেলো কথা বলতে শুরু করেন। পরে গ্রামের উত্তেজিত জনতা তাঁদের গণপিটুনি দেয়।’
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় ওয়ার্ড মেম্বার মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’