হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীরা ন্যুনতম্য চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আজকে করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগী তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কোনো বেড নাই। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চিকিতসার জন্য মানুষ হাহাকার করছে। মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে না। যদি পজিটিভ হয় কোথায় চিকিৎসা নেবে তারা। হাসপাতালে বেড নাই, কোনো চিকিৎসা নাই-কিচ্ছু নাই। সরকার ফ্লাইওভার করেছে কিন্তু একটা হাসপাতালও নির্মাণ করেননি। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যে আধুনিক সরঞ্জাম দরকার সেটা দেননি।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পূর্বের উদ্যোগে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। এর আগে তিনি রাজধানীর উত্তরার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক এম কফিল উদ্দিনের উদ্যোগে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।

এ সময় মহানগর উত্তরের আহসানউল্লাহ হাসান, এ বি এম এ রাজ্জাক, মোতালেব হোসেন রতন, মমতাজ উদ্দিন, এফ ইসলাম চন্দন, সফুর উদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম সরুজ, তাজুল ইসলাম, মো. মুনির, জাহিদ মাস্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘আপনারা (সরকার) উন্নয়ন দেখাচ্ছেন। এসব করে আপনার নেতাকর্মীদের পকেট ফুলতে ফুলতে একেবারে বেলুনের মতো করে দিয়েছেন। মানে, টাকা এতো বেশি পকেটে ঢুকেছে- বেলুনের মতো।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হলে অক্সিজেন সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হয়। সেই অক্সিজেন সিলিন্ডার বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ হাসপাতালে নেই, অক্সিজেন মাস্ক যেটা দরকার সেটা ৮০ শতাংশ হাসপাতালে নেই।

বিএনপির নেতা বলেন, ‘সরকারি হিসাব, এদেশে ২৮ হাজারের উপরে করোনায় আক্রান্ত মানুষ এবং ৪০২ জন মারা গেছেন। এটা হচ্ছে সরকারি হিসাব। আর যারা মেডিকেল গবেষণা করে, বড় বড় ডাক্তাররা বলেছেন, সরকার যে হিসাব দিচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। সরকার অনেক পরিসংখ্যান গুম করছেন, প্রকাশ হতে দিচ্ছেন না। এটা আমার কথা নয়, যারা এসব নিয়ে গবেষণা করছেন তাদের কথা।’

এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ঢাকা মহানগর পূর্বের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে মগবাজারে মীরবাগে ফিউচার অব বাংলাদেশের উদ্যোগে দুস্থ মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেন রিজভী। এ সময়ে শওকত আজিজ, জামাল হোসেন টুয়েল, রেজাউল হোসেন অনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।