কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি, খেতে নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কচুরিপানা খাওয়া যায় কি না, এটা নিয়ে কৃষি গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি। সরাসরি কাউকে কচুরিপানা খেতে বলিনি। আমার গতকালের বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে একনেক সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’
উৎপাদন পরবর্তী খাদ্যের অপচয় কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা করার আহ্বান জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য এ সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আর কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কি না। আমি গ্রামের ছেলে, গ্রামের নদীগুলো সব (আটকে যাচ্ছে), কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন? আমি জানি না, বিষাক্ত কোনো ব্যাপার আছে কি না।’
পরিকল্পনামন্ত্রীর এ বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এ বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষেও অনেকে যুক্তি দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ বলেন, কচুপাতা খেতে পারলে কচুরিপাতা খাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে তাঁর আগের দিনের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গবেষণা করে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি। সরাসরি কচুরিপানা খেতে বলিনি। গবেষণায় যদি প্রমাণিত হয়, কচুরিপানা খাওয়ার উপযোগী তাহলেই আমরা খাব।’