কক্সবাজারে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল ডব্লিউএফপি
কোভিড-১৯-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শহরে বসবাসকারী মানুষকে সহায়তা করার জন্য কক্সবাজার সদরে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
বাজারে খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়া ও দাম ওঠা-নামা করায় কোভিড-১৯ ও এর অর্থনৈতিক প্রভাবের ফলে কক্সবাজার সদর উপজেলায় শহরে বসবাসকারী জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘কক্সবাজারের জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশ পর্যটন খাত ও দিনমজুরির কাজের ওপর নির্ভরশীল। আর এই দুটি খাতই কয়েক মাসের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় যা এখনো পুরোপুরিভাবে আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপার্জনজনিত এই ক্ষতি তাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে সরাসরিভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আর তাই, চলমান সোশ্যাল সেফটি নেট কর্মসূচির আওতায় যেসব মানুষ সহায়তা পাচ্ছেন না, তাদেরকে সহায়তার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা একসাথে কাজ করে যাচ্ছি।’
কক্সবাজারের ডেপুটি কমিশনারের অনুরোধে গত ৮ জুন ডব্লিউএফপি স্পেশাল সাপোর্ট ফর দ্যা হোস্ট কমিউনিটি (এসএসএইচসি) কার্যক্রম শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার সদরে বসবাসরত ৬২ হাজার মানুষসহ কক্সবাজার জেলার পাঁচ লাখের বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে খাদ্য ও অর্থসহায়তা দেওয়া। পরিবারগুলো প্রাথমিকভাবে ৬০ কেজি করে চাল পেয়েছে। পরবর্তীতে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে তাদেরকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তার পাশাপাশি ডব্লিউএফপি করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাবের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত শহরে বসবাসরত জনগণকে সহায়তা করবে, যা সামনে আরো বৃদ্ধি পাবে।