ওরসের যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, চারজনের লাশ উদ্ধার
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ওরসের যাত্রী নিয়ে কুতুবদিয়ার দ্বীপের একটি দরবার শরিফে যাওয়ার পথে দুটি নৌকা ডুবির ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন।
আজ বুধবার সকালে দিকে উপজেলার কাথারিয়া ও গণ্ডামারা ইউনিয়নে এ দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার।
ওসি বলেন, ‘যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ (র.) হুজুরের দরবার শরিফে যাচ্ছিলেন। ৪০-৫০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিশিং বোটে ১২০-১২৫ জন যাত্রী ছিল। এ কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
নিহতরা হলেন উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের প্রবাসী মো. আক্কাস (২৮) ও ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া কেজি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. মিনহাজ (১০), উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছড়া গ্রামের আব্দুল মালেক (৫০) ও একই ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের আব্দুল জলিল (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৮টায় কাথারিয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রাম থেকে একটি ফিশিং বোটে ১২০ জনের অধিক যাত্রী কুতুবদিয়া দরবার শরিফের দিকে রওনা হয়। উপজেলার জ্বলকদর খালের কাথারিয়া চুনতি বাজারের দক্ষিণে নৌকাটি উল্টে যায়।
পরে প্রবাসী আক্কাস ও শিক্ষার্থী মিনহাজের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আহত মো. বাবুল (৪০) ও আলী আকবর (১০) নামের দুজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকাডুবির অপর ঘটনাটি ঘটেছে জ্বলকদর গণ্ডামারা এলাকায় সমুদ্র মোহনায়। সকালে খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকা থেকে হারুনের মাছ ধরার নৌকায় করে ১২৫ জন যাত্রী কুতুবদিয়া দারবার শরিফের দিকে যাত্রা করে। সাড়ে ১০টার দিকে সেটি গণ্ডামারা সমুদ্র মোহনায় উল্টে যায়।
এতে আব্দুল মালেক ও আব্দুল জলিল (৩২) মারা যান। এই ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত হয়। অন্যরা সাঁতার কেটে কূলে আসতে সক্ষম হয় বলে জানান বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।
‘নৌকাডুবির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতের উদ্ধার করেছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিখোঁজ কেউ আছে কি না, তদারকি করা হচ্ছে’, যোগ করেন ওসি।